Food habit কিংবা Quality of food এই ২ টা বিষয়ের উপর নির্ভর করে আমাদের জীবনযাত্রার মান কেমন হবে। আচ্ছা, আপনাদের অবাক লাগেনা, এইযে একসময় মানুষ এত কর্মঠ ছিলো, ৭০ বছরের মাথায় এসেও দিব্যি ক্ষেত খামারের কাজ করার মতো শক্তি ছিলো। কিন্তু এখন? ৩০ বছরের উপর গেলেই মানুষের শরীরের বাসা বাঁধা শুরু করে এক ঝাঁক রোগ। ৫০ এর উপরে গেলে তারা দূর্বল হতে থাকে। তবে কেন এমন পরিবর্তন??
মানবশরীরের সুস্থতা নির্ভর করে মূলত তাদের ইমিউন সিস্টেমের উপর। এই ইমিউনিটি ২ ধরণের। একটা জন্মগত, যেটা শিশু ভ্রূণাবস্থায় অর্জন করে ফেলেছে এবং অন্যটি অর্জিত। যা বড় হওয়ার সাথে সাথে অর্জন করতে থাকে। এই ইমিউন সিস্টেম আমাদের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। কিন্তু যখন আপনার ইমিউনিটি শক্তিশালী হবেনা তখন আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও শক্তিশালী হবেনা। আর ইমিউন সিস্টেমকে স্ট্রং বানানোর জন্য দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এখন আসি এই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিয়ে।
আগে মানুষ যা খেতো সবই ভেজালমুক্ত খাবার ছিলো। কিন্তু বর্তমানে? বর্তমানে বাজারে যা হচ্ছে সবই ভেজালযুক্ত৷ যেখানে নিজের জমিতে চাষ করা খাবার খেয়েও শতভাগ বিশুদ্ধতার গ্যারান্টি নাই সেখানে বাজারের আসা পন্যের গ্যারান্টি ছুটে গেছে অনেক। কিন্তু জমিতে চাষে আবার সমস্যা কেনো? আপনি যেই জমিতে চাষ করছেন সেই জমির মাটিতেই আসল ভেজাল রয়ে গেছে। ২ ভাবে মাটিতে ভেজাল হতে পারে।
– প্রথম, আপনি চাষ করার সময় মাটিতে যেই রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করছেন সেই সারে রয়েছে নাইট্রাস অক্সাইড সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই রাসায়নিক উপাদানগুলো মাটি থেকে উদ্ভিদে যায়। তাহলে বুঝা যায় যে, আমরা কতোটা ভেজালমুক্ত, পিওর, ফ্রেশ খাবার খাচ্ছি!
– অন্যদিকে মাটি ক্রমান্বয়ে দূষিত হচ্ছে। পলিথিন, কলকারখানা আবর্জনা সহ আরো কতকিছু মাটিতে মিশে যা থেকে হেভি মেটাল যেমন ক্যাডমিয়াম, লেড ইত্যাদি মাটিতে মিশে এবং সেই মাটিতে চাষ হলে হেভি মেটাল সহজেই দেহের ভেতর আসতে পারে যা ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ বাঁধাতে সহায়তা করে।
গোড়ায় গন্ডগোলের পর তা আবার যদি বাজারে আসে আরো ভেজালযুক্ত হয়ে তাহলে শেষ রক্ষেও থাকে না। হলুদ, মরিচ, লবন থেকে শুরু করে আটা, গম, চাল সকল খাবারে ভেজালের সমারোহ।
আগে মাটিতে এত দূষণও ছিলোনা আবার এত কেমিক্যালও ব্যবহার করতোনা। মাটি বর্তমানের মতো কেমিক্যাল নির্ভরও ছিলোনা। খাদ্যে ভেজালও ছিলোনা। তাহলে বর্তমান এতকিছুর ভিড়ে গড় আয়ু ক্রমাগত কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি?
তবে এত কিছুর ভিড়েও আমাদের শেষ চেষ্টা থাকবে বিশুদ্ধ খাবারের জোগান দেয়া। খাদ্যে ভেজালের মিশ্রন যোগ না করা। তাই আমরা চেষ্টা করেছি, আপনার সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ খাবারের জোগান নিশ্চিত করতে।”
0 Comments