বার্ধক্যে খাদ্যাভাস চার্ট

by | সুস্বাস্থ্য

প্রকৃতির আদলেই এক সময় জীবনে বার্ধক্য চলে আসে। ভুল খাদ্যাভাসের জন্য যদি কোনো পুষ্টি উপাদানের কমতি থাকে তবে তার প্রভাব বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের উপর পড়ে। এজন্য শুরু থেকেই উচিত একটি পুষ্টিসম্মত খাদ্য তালিকা প্রস্তুত রাখা। একইসাথে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক পরিশ্রম কমে আসতে থাকে তাই উচিত খাদ্যতালিকা থেকে ধীরে ধীরে ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলা। মূলত পঞ্চাশোর্ধ হলেই দিনের মোট খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা প্রয়োজন। তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে যাতে অতিরিক্ত ক্যালরি না জমা হয়। বার্ধক্য বয়সে ক্যালসিয়ামের খুব প্রয়োজন আর এর উৎকৃষ্ট উৎস হচ্ছে দুধ। দুধ থেকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই তা কম চর্বিযুক্ত হতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শাক- সবজি, ফল, সালাদ, ছোট মাছ ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।

বার্ধক্যে সারাদিনের খাদ্যতালিকা এরোকম হতে পারে-

🍳 সকালের খাবার:
— রুটি: ২টি
— সবজি: ১ কাপ
— ফল: ১টা

🥃 নাস্তা:
— বিস্কিট: ১ পিস
— দুধ: ১ গ্লাস ( সর তোলা )

🍛 দুপুরের খাবার:
— ভাত: ২ কাপ
— ডাল: ১ কাপ
— মাছ/ মাংস: ১ টুকরো
— সবজি: ১ কাপ
— শাক: ১/২ কাপ

🥃 নাস্তা:
— বিস্কিট: ১ পিস
— ফল- ১ টি

🍛 রাতের খাবার:
— ভাত: ২ কাপ
— মাছ/মাংস: ১ টুকরো
— ডাল: ১ কাপ
— সবজি: ১ কাপ

🥛রাতে ঘুমানোর আগে দুধ:

অনেকের দুধ খাবার কারনে হজমে সমস্যা হয়। এরকম সমস্যা হয়ে থাকলে দুধের পরিবর্তে দই খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া দুধ হজম করার জন্য দুধে ২/৩ ফোটা লেবুর রশ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

এ বয়সে প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। এতে খাবার পরিপাকে সহায়তা হয়। পরিমিত খাবারের সাথে সকাল এবং বিকালে একটু হাঁটাচলা করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।

0 Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Category
Offers
Account
Cart
Home
Shopping cart0
There are no products in the cart!
Continue shopping
0