এ দেশের নানান অঞ্চলের সাথে মিশে আছে নানান ঐতিহ্য। কখনো ঐতিহ্যবাহী খাবার আবার কখনো ঐতিহ্যবাহী কাপড়। এভাবেই সময়ের কালক্রমে সেই সংস্কৃতি মিশে গেছে প্রকৃতির আপন চাহিদায়।
আজকে কথা বলবো এমনই এক ঐতিহ্যবাহী খাবার, ‘বিবিখানা পিঠা’। নদীর পারে বেড়ে ওঠা শরীয়তপুরে নানান আয়োজনে তৈরি হয় এই বিবিখানা পিঠা। নারিকেল, দুধ, ময়দা এমন নানান উপকরণের মিশ্রনে এই বিবিখানা পিঠা দিয়ে মেহমান সাদরে গ্রহন থেকে শুরু করে জন্মদিন কিংবা হলুদের আয়োজনে পর্যন্ত বানানো হয়ে থাকে। শোনা যায় বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জের দিকেও চল আছে এই পিঠার।
বিবিখানা পিঠার নাম কেনো বিবিখানা?
– মায়ের মুখ থেকে শোনা প্রচলিত গল্প যে, ঘরের বিবি অর্থাৎ বউয়েরা সকলে মিলে এই পিঠা বানাতো তাই এর নাম হয়ে উঠে বিবিখানা পিঠা।
– আরো একটি প্রচলিত পুরাণ আছে। যেহেতু এই পিঠা তৈরি করতে দুধ, খেজুরের গুড়, নারিকেল প্রয়োজন হয়, আর এসব উপকরনগুলো প্রায় সস্তা না। বরং অনেকটাই ব্যয়বহুল। আর আভিজাত্যের ছোয়াতেই কিছুটা উঁচু বংশের বাড়ির বউদের বিবি’ বলে ডাকা হতো। সে বিবিরা এই পিঠা বানাতো বলে সেই সুতো ধরেই এই পিঠার নাম হয়েছে বিবিখানা পিঠা।
0 Comments