গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চরক্তচাপের অর্ধেক রোগীই জানেননা যে তারা এই রোগে ভুগছেন। কারন এই রোগে সাধারণত কোনো লক্ষন দেখা যায় না। একমাত্র ব্লাড প্রেশার মাপলেই বোঝা যায় কার উচ্চরক্তচাপ আছে কিনা। — ব্লাড প্রেশারে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়া: অনেকেই ডাক্তার্র পরামর্শ নিয়ে ওষধ খাওয়া শুরু করে তারপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই নিযে নিজে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে ফেলে। আপাতপক্ষে এতে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। তবে উচ্চরক্তচাপের কারনে নীরবে শরীরের নানা অঙ্গপতঙ্গের ক্ষতি করত্র থাকে। যেমন উচ্চরক্তচাপের কারনে রক্তনালির ক্ষতি হয়। রক্তনালীর এই ক্ষতি হঠাৎ একদিন মাঝরাতে রক্তচাপ অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া প্রেশারের ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। — ব্লাড প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খাওয়া: ডাক্তারের দেয়া ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজ উদ্যেগে কমিয়ে খায় অনেকে। এতে করে হঠাৎ করে উচ্চরক্তচাপ হতে পারে। — ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়া: প্রেশারের ওষুধ সাধারণত প্রতিদিন খেতে হয়।
হাই ব্লাডপ্রেশারের জন্য রোগী যেহেতু কোনো ব্যাথা বা অস্বস্থিবোধ করেননা তাই অনেক রোগী ওষুধ খেতে ভুলে যান। এতে করে প্রেশার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু কারন আছে হঠাৎ প্রেশার বেড়ে যাওয়ার। > মানসিক চাপ > নির্দিষ্ট কিছু রোগ যেমন উচ্চরক্তচাপ থেকে সৃষ্ট কিডনি বা থাইরয়েড রোগ। >নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ যেমন স্টেরয়েড, ভেষজ ওষুধ, ব্যাথানাশক ইত্যাদি। প্রেশার হঠাৎ বেড়ে গেলে কি করনীয়? অনেকের প্রেশার হাই কিন্তু আর কোনো লক্ষন নেই। এমনটা হলে প্রথম কাজ হলো কেনো প্রেশার এত দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে তা খুজ্র বের করা। প্রেশারের ওষুধ ঠিকমতো কাজ করছে না নাকি শরীরের অন্যকোনো অসুবিধার সৃষ্টি হলো এটি জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তার আগে নির্দিষ্ট সময় সহ প্রেশার মাপার তালিকা করে নিবেন। যাদের প্রেশার হাই ও অন্যান্য লক্ষন আছে। এ লক্ষনগুলো- > মাথাব্যথা > চোখে ঝাপসা দেখা > বমিভাব > আবোল তাবোল বকা/ কথা ভুলে যাওয়া। > ঝিমিয়ে থাকে > অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে পড়া > খিঁচুনি > হাত- পা অবশ হয়ে যাওয়া > মুখে কথা আটকে যাওয়া > পেট/ পিঠে ব্যাথা হওয়া > অস্থির লাগ > বুকে ব্যাথা > শ্বাসকষ্ট এই লক্ষনগুলো দেখা দিলে নিজে নিজে ওষুধ খেয়ে প্রেশার কমানোর চেষ্টা করবেন না। কারন এই অবস্থায় খুব সতর্কতার সাথে প্রেশার কমাতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হীতে বিপরীত হবারও সম্ভাবনা আছে। তাই সঠিক পরামর্শ নিয়ে খাদ্য তালিকার সাথে ওষুধ গ্রহন করবেন। অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকে টক বা তেতুঁল খেলে সাথে সাথে প্রেশার কমবে কি? — উত্তর হচ্ছে না। তাৎক্ষনিকভাবে প্রেশার কমানোর জন্য এটা ভালো উপায় নয়। বরং তেতুঁল খুজতে যেয়ে যদি হাসপাতালে পৌছাতে দেরি হয় তাহলে তা আরো বিপদজনক হতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদি তেতুঁল খেলে উপকার আছে। তেতুঁল রকটা ফল। আর একজন উচ্চরক্তচাপ রোগীর জন্য দিনে চার থেকে পাচটা মাঝারি সাজের ফল খাওয়া উচিত। কারন এতে তুলনামূলক বেশি পটাসিয়াম থাকে যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেতঁল ও এমন একটি ফল যাতে পটাশিয়াম রয়েছে যা উচ্চারক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
0 Comments