সময়ের আবর্তনে এখন পেটের মেদ এক কমন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। শহরের বাতাসে খাবারের সুগন্ধ, আর পেটের মেদের সমানুপাতিক হারে বাড়তেই চলেছে। তবে এর সাথেও আছে আরো নানান কারন। আজকে সেই পেটের মেদ কমানো নিয়েই আলোচনা হবে।
১. কোন বেলার খাবার বাদ দেয়া: অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে দুপুরে খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। এতে করে পরের বেলায় পরিমানে বেশি খাওয়া কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করার প্রবনতা দেখা যায়। তাই প্রতিবেলার খাবার পরিমিত পরিমান খাওয়া উচিত। যদি কোনো বেলার খাবার না খাওয়া হয় তবে পরেরবেলায় কোনোভাবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
২. আনমনে খাওয়া: টিভি কিংবা ফোন দেখে খেলে অনেক সময় মেদভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে খেলে আমাদের মনোযোগ সেখানে থাকে এবং আমরা আরকটু বেশি সময় টিভি দেখার জন্য পরিমানের থেকে বেশি খাবার গ্রহন করে ফেলি।
৩. মানসিক চাপ: দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভুগলে আমাদের শরীর থেকে কর্টিসল নামক হরমন নি:সরিত হয়। এতে করে আমাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার খুব ক্রেভিংস হয় এবং ক্ষুধা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। বেশি খাবার গ্রহনের ফলে আমাদের মেদভুঁড়ি বেড়ে যায়।
৪. রাত জাগা: রাত জাগার সাথে ওজন বেড়ে যাবার এক সম্পর্ক আছে। অনেকাংশে রাত জেগে থাকলে আমাদের কিছু খেতে ইচ্ছে করে আর তখন সাধারণত আমরা খাবার হিসেবে মুড়ি, চানাচুর, বিস্কিট ইত্যাদি বেছে নেই। যা শরীরে চর্বি যোগায়।
৫. চাল বাছাই: লাল চালের মধ্যে ফাইবার থাকে। যা সাদা চালে থাকে না। ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং আমরা তাড়াতাড়ি ক্ষুধা অনুভব করি যা লাল চালের ক্ষেত্রে হয়না। তাই আমাদের লাল চাল, লালা আটা খাওয়া অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত৷ যা ওজন নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে।
৬. হাটা- চলা করা: শুয়ে বসে থাকলে ওজন বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন অন্তত সপ্তাহে পাঁচ দিন ত্রিশ মিনিট করে জোড়ে জোড়ে হাটা৷
বোধ করছি শরীরের প্রতি সচেতন হয়ে কিছুটা অভ্যাদ গড়ে তুলতে পারলেই মেদভুঁড়ি কমাতে পার।। তবে রাতারাতি ওজন কমে যাবে চিন্তা করবেন না। দীর্ঘমেয়াদে চেষ্টা করে যান। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
0 Comments