বর্তমানে হৃদরোগ বা হার্ট ডিজিজের হার নন কমুনিকেবল ডিজিজের মধ্যে সর্বোচ্চ। হৃৎপিন্ডের প্রধান কাজ হচ্ছে রক্ত পাম্প করা এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা। কোনো কারণে হৃৎপিন্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণের অক্সিজেন সরবরাহ না হলে হৃদরোগ দেখা যায়। যেমন, অ্যানজাইনা যা হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর।
হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ কেন হয়??
মূলত হার্টে কোনো ব্লক সৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে ব্লাড চলাচল করতে পারেনা কিংবা চলাচলের হার কমে যায় ফলে অক্সিজেনের হারও কমে যায়। ফলস্বরূপ বুকে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
এখন প্রশ্ন হতেই পারে ব্লক কেন হয়?
– রিচ ফুড যেমন পোলাও, চর্বিযুক্ত মাংস, বিরিয়ানি, ডেজার্ট, কোমল পানীয়, স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেখানে কোলেস্টেরল থাকে, ভাঁজা খাবার, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
– ধুমপান, অ্যালকোহল সেবন করলে
– অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন
– খাবারে অনিয়ম
এসব কারণে হার্টের সূক্ষ সূক্ষ নালীতে ব্লক (চর্বি জমে) সৃষ্টি হয়।
কি করা উচিত?
-হার্টের পেইশেন্টদের অবশ্যই কিছু ডায়েট ফলো করা উচিত। যেমন লো কোলেস্টেরল ডায়েট, লো ফ্যাট ডায়েট, সোডিয়াম রেস্ট্রিকটেড ডায়েট।
– হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন গরুর মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, চিজ, ক্রীম, ননীতোলা দুধ, চকলেট, ফ্রাইড ফুড, ডেজার্ট, ড্রেসিং করা সালাদ ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
– খোলা লবন, আচার, প্রসেসড মিট যেমন সসেজ, নাগেটস ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
– ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
– প্রচুর শাকসবজি, মৌসুমী ফলমূল খেতে হবে।
– ধুমপান ত্যাগ করতে হবে।
– হেলদি লাইফস্টাইল মেইন্টেইন করতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।
0 Comments